আল ইয়ামিম আফ্রিদি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
মঙ্গলবার (৬ জুন) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের গ্যালারিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও শিক্ষক সমিতির সদস্য জনাব ড. মোহাম্মদ শেখ সাদীর সার্বিক পরিচালনায় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সিন্ডিকেট সদস্য জনাব মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জনাব ড. তাসলিমা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় 'মহাভারত ও রবীন্দ্রনাথ:আর্থ-সামাজিক ভাবনা' শীর্ষক বিশেষ সেমিনার ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোচকের বক্তব্য রাখেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন অধ্যাপক জনাব ড. মাহবুবুল হক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের সাবেক ডিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মহীবুল আজিজ। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজচিন্তক ও পশ্চিমবঙ্গের গাইডেন্স ফাউন্ডেশনর ম্যানেজিং ট্রাস্টি জনাব ড. ইমদাদুল হক।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি বলেন,মনুষ্যত্ব হলো অচেতন মনের খাঁচা। মানে সচেতন মন নিয়ে কাজ করে। আর সচেতন মন নিয়ে জানতে হলে কুরআন জানতে হবে মহাভারত জানতে হবে পূরাণ জানতে হবে।
তিনি আরো বলেন,পৃথিবীতে মানুষ হচ্ছে সব থেকে হিংস্র। মানুষের ভিতরে সকল প্রাণীর বিশেষণ আছে। তাই মানুষকে পশুত্ব নিয়ন্ত্রণ করে মনুষত্বে উত্তরণ করতে হয়। মানুষ জন্মসূত্রে মানুষ নয়।
বিজ্ঞান ও সাহিত্যকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,আমরা যখন কোন কিছু করি তার আগে আমরা মনের ক্যানভাসে ছবি আঁকি। যখন সেটা বাস্তব হয় তখন তা বিজ্ঞান। কিন্তু যখন আমরা মনের ভিতর ভাবি তখন তা সাহিত্য। অর্থাৎ সাহিত্য হচ্ছে বিজ্ঞানের পূর্ববর্তী ধাপ।
রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্ম নিয়ে তিনি বলেন,আমরা রবীন্দ্রনাথের লেখাগুলো সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পারি না। রবীন্দ্রনাথ তার কবিতা ও লেখায় স্রষ্টাকে খুঁজেছেন কোন নারীকে নয়।
বর্তমান আর্থ সামাজিক অবস্থা নিয়ে ড. ইমদাদুল হক বলেন,মহাভারত পূরাণ বা কুরআন ধর্মীয় গ্রন্থগুলো না বুঝে পড়ার কারণে আমরা উৎপাদনমুখি হতে পাচ্ছি না।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন যে, উক্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা মৈত্রী দেশের ভিন্ন চিন্তাধারা সাথে যেভাবে পরিচিত হতে পারছে একই সাথে নতুন আঙ্গিকে মহাভারত ও রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে জানতে পারছে এবং এমন আয়োজন তাদের সর্বদা প্রত্যাশিত।