---

হাবিবুল্লাহ বাহার হাবিব 
নোয়াখালীর সেই বিতর্কিত শিশু বিশেষজ্ঞ ডাঃ আলাউদ্দিন কে নিয়ে বিতর্ক যেন শেষ হচ্ছে না। একটা ঘটনা শেষ হতে না হতেই আরও একটা ষড়যন্ত্র শুরু। তার সাথে তার চিকিৎসক স্ত্রী ডাঃ আসমার ছাড়াছাড়ি হয়েছে প্রায় আড়াই বছর আগে। ডাঃ আসমা ছেলে তৌফিক এলাহী আর মেয়ে তানিশা জাহান কে নিয়ে চৌমুহনী ডক্টরস টাওয়ারে বসবাস করছেন। ডাঃ আলাউদ্দিন সম্প্রতি সিনিয়র কনসালটেন্ট হিসেবে প্রমোশন পেয়ে নীলফামারী মেডিকেল কলেজ থেকে সিনিয়র কনসালটেন্ট  প্রমোশন পেয়ে ফেনী সদর হাসপাতালে পোস্টিং নিয়েছেন। তাদের ছেলে তৌফিক এলাহী এবার এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্ল্যাস পেয়ে পাশ করেছে। সে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির জন্য তেজগাঁও বিজ্ঞান কলেজে চান্স পেয়েছে। ডাঃ আলাউদ্দিন ২২/০৯/২৩তারিখ  ছেলেকে ডেকে নিয়ে চৌমুহনী রাজ মোহল হোটেলে ডিনার করাতে নিয়ে যায়। সেখানে ছেলেকে হোস্টেলে থেকে ঢাকায় পড়াশোনার জন্য বলে। তৌফিক এলাহী স্পষ্ট বলে সে হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করবে না। তখন ডাঃ আলাউদ্দিন তার মাকে সাথে নিয়ে ধানমন্ডির ফ্লাটে থেকে পড়াশোনা করার জন্য চাপ দিতে থাকে। ঐ সময় ঔষধ কোম্পানির ফিরোজ ও অসীম সাহা উপস্থিত থেকে আলাউদ্দিন এর সাথে তাল মিলাতে থাকে। ডাঃ আসমা নিয়মিত চৌমুহনীতে নিজস্ব চেম্বারে রুগী দেখে আসছেন বহু বছর থেকে। তাকে নোয়াখালী ছাড়া করতেই আলাউদ্দিন উঠে পড়ে লেগে আছে। তাই নানা অপচেষ্টায় লিপ্ত। এমনকি  কোমলমতি ছেলে তৌফিক এলাহীকেও তার মা ডাঃ আসমার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত যদি কাজ না হয় তাহলে ডাঃ আসমার জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে। ঐ সময় তৌফিক এলাহীর দুজন গৃহশিক্ষক ওখানে উপস্থিত ছিলেন।ছেলে তৌফিক এলাহী ঐ রাতে বাসায় এসে তার মা ডাঃ আসমা কে সব কথা বলে দেয়। ডাঃ আসমা নিজ নিরাপত্তা চেয়ে গত ২৪/০৯/২০২৩ ইং তারিখে বেগম গন্জ মডেল থানায় ডাঃ আলাউদ্দিন সহ বেশ কয়েকজনের নামে জিডি করে। জিডি নং ১৪৯৬, তারখি ২৪/০৯/২৩ইং।উক্তজিডিতে সাক্ষী করা হয়েছে ছেলে তৌফিক এলাহী ও তার দুজন গৃহশিক্ষককে। এছাড়া ডাঃ আলাউদ্দিন এর বিরুদ্ধে ডাঃ আসমাকে হত্যা প্রচেষটা মামলা সহ  একাধিক  জিডি আছে। মামলা বিচারধীন থাকা অবস্থায় আলাউদ্দিন একের পর এক ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। আর তার কিছু সহযোগী তাকে এসব ষড়যন্ত্র ও অপকর্মে সাথে তাল মিলিয়ে যাচ্ছে। একজন ফৌজদারী মামলার আসামী কিভাবে প্রমোশন পায় তা বোধগম্য নয়। অতি সম্প্রতি ডাঃ আলাদ্দিন এর একাধিক নারী কেলেংকারী সহ নানা অপরাধ মূলক ঘটনা নিয়ে ক্রাইম প্রতিদিন, জাতীয় দৈনিক বাঙ্গালীর কন্ঠ, নির্ভীক সংবাদ, দৈনিক একাত্তর সংবাদ, দৈনিক অপরাধ চিত্রসহ  একাধিক পত্রিকায় বেশ কিছু সংবাদ প্রকাশিত হয়।তিনি একজন সরকারি চিকিৎসক হয়ে কিভাবে এতোসব অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন তা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  ডাঃ  আসমা বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন অতিবাহিত করছেন। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ডাঃ আলাউদ্দিন এর প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্বক উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন ডাক্তার আসমাতুন্নেছা ও এলাকার সচেতন মহল।