তোমাকে ভাবলেই এখনো শব্দের গতিবেগ বেড়ে যায়
তোমাকে ভাবলেই এখনো আলোর গতিবেগ বেড়ে যায়
তোমাকে ভাবলেই খানাখন্দ পেছনে ফেলে
ভটভটি আমার এগিয়ে যায়
বায়োস্কোপের সম্মুখে তোমাকে দেখতে পাই
মন্ত্র তন্ত্র নয়, ঝাড়ফুঁকও নয়
অসংখ্যবার তোমাকে দেখতে পাই,
সহসাই আবারো হাসবো বলে
বুকে আশা বেঁধে রাখি চাষার মতো
নতুন ফসল আসবে বলে।
নতুন ছায়াপথ পাড়ি দিয়ে
আমি যখন ঘুমন্ত ঢাকা শহর পৌঁছলাম
তখন মোটেল, হোটেল সব বন্ধ ছিল
মনের ভেতর তুমি কিশোরী, যুবতী,
গোলাপি হয়ে তখনো বসে আছো
উদ্দাম জৌলসে স্রোতস্বিনীর ঢেউ, সঙ্গে প্লাবন
ওকে কাঠের ফায়ার জ্বালিয়ে তুমি ড্যাফোডিল হাতে দাঁড়িয়ে
আমি দূর থেকে জাফরানি ঘ্রাণ পেলাম
অনাড়ম্বরভাবে তুমিও স্বাগত জানালে আমায়,
ম্যাপল পাতার মতো লাল শাড়ি পরা ছিল সেদিন তোমার
তোমাকে দেখার পর আমি সব ভুলে গেলাম
কিম্বা ভুলে যাবার ভান করলাম
রোমাঞ্চ, চেনাজানা আনন্দ
যেন কোনো দায় নেই আর আমাদের,
লাইট শেড তোমার অবয়ব রিটাচ করতে করতেই
দক্ষিণের আকাশ, সামনে ন্যাশনাল পার্ক
দূর থেকে ভেসে আসছে যেন অসম রবীন্দ্র সংগীত
‘আমার বেলা যে যায়, আমার সাজ বেলাতে’
আমার অবিশ্বাসে বিশ্বাস আরও বেড়ে যায়
ভালোবাসা বেড়ে যায় কামনার অধিক
অবশেষে বুঝে নিলাম
তুমিই চাঁদের লাবণ্য, তুমিই পরাঙ্গম, পুরনো পিয়ানো
তুমিই আমার বহুদিনের প্রলাপী অভ্যাস।
আমি এক প্রান্তিক মানুষ হেঁটে যাই তোমার কাছে
প্রশান্ত আশা নিয়ে যৌথ স্নান করবো বলে
ভাগ শেষে আমি বৈশাখী চোখে দেখতে পাই মাছের গহ্বর,
এই সব ভালো লাগা অবশ্য নিতান্তই সীমিত
তবুও চুপিসারে ছন্দের তালে তুমিই মৃদঙ্গ বাজাও।