২৯ মিনিটে প্রথম গোল পেলেন করিম বেনজেমা। ৩ মিনিট পর দ্বিতীয় গোল ফরাসি স্ট্রাইকারের। এর ৪ মিনিট পর হ্যাটট্রিক গোলটাও পেয়ে গেলেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা। সেটিও অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিকে। ৭ মিনিটে হ্যাটট্রিক!
১৯৯২ সালের ১৬ এপ্রিল এসপানিওলের বিপক্ষে রিয়ালের ৭-০ গোলের হয়ে ৬ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করেছিলেন ফার্নান্দো হিয়েরো। এরপর করিম বেনজেমার হ্যাটট্রিকটিই লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে দ্রুততম হ্যাটট্রিক।
৩১ বছর আগের সেই ম্যাচের মতো আজ অবশ্য ৭-০ গোলে জিততে পারেনি রিয়াল। তবে ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গোল কমও করেনি ইউরোপ ও স্পেনের সবচেয়ে সফল ক্লাবটি। রিয়াল ভায়াদোলিদকে ৬-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল। বেনজেমার হ্যাটট্রিকের আগে-পরে রিয়ালের অন্য ৩ গোল রদ্রিগো, মার্কো আসেনসিও ও লুকাস ভাসকেজের।
এই জয়ের পরও অবশ্য চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার চেয়ে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে থাকল রিয়াল। গত রাতে এলচেকে ৪-০ গোলে হারানো বার্সার পয়েন্ট ২৭ ম্যাচে ৭১। সমান ম্যাচে রিয়ালের পয়েন্ট ৫৯।
রিয়াল মাদ্রিদ প্রথম গোলটি পায় ২২ মিনিটে। আসেনসিওর পাস ভায়াদোলিদের বক্সে খুঁজে নেয় এগিয়ে আসা রদ্রিগোকে। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার গোল করতে ভুল করেননি।
৭ মিনিট পর বেনজেমার প্রথম গোল। আরেক ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বাঁ পাশ থেকে ক্রস বাড়ান এগিয়ে আসা বেনজেমার উদ্দেশ্যে। এক ড্রপ খাওয়া বলটিতে মাথা ছোঁয়াতে নিচু হতে হলেও গোল পেয়ে যান বেনজেমা।
৩২ মিনিটে ৩-০। রদ্রিগো থেকে ভিনিসিয়ুস হয়ে বল যায় বেনজেমার পায়ে। ভায়াদোলিদের দুই ডিফেন্ডারকে ঘোল খাইয়ে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে বল জালে জড়ান বেনজেমা।
৪ মিনিট পরেই হ্যাটট্রিক। এবার ডান পাশ থেকে ক্রস রদ্রিগোর। অরক্ষিত বেনজেমা নিজেকে শূন্যে ভাসিয়ে ডান পায়ের বাইসাইকেল কিকে পেয়ে যান হ্যাটট্রিক। রিয়ালের ক্যারিয়ারে এই প্রথম ম্যাচের প্রথমার্ধেই হ্যাটট্রিক পেলেন বেনজেমা।
৪-০ গোলে এগিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করা রিয়াল ৬৫ মিনিটে তুলে নেয় বেনজেমাকে। তাঁর বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এডেন হ্যাজার্ড। হ্যাজার্ড নামতে না নামতেই আরেকটি গোল পেয়ে গিয়েছিলেন রদ্রিগো। ভিএআরের পরামর্শে সেই গোল বাতিল করেন রেফারি। গোলের উৎসে ভিনিসিয়ুসের হাতে লেগেছিল বল।
৮ মিনিট পর সেই রদ্রিগোর পাস থেকেই গোল পেয়ে যান আসেনসিও। রিয়ালের শেষ গোলটি যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে। হ্যাজার্ডের পাসে গোল করেন লুকাস ভাসকেজ।